মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি - দৈনিক রূপান্তর Dainik Rupantor

সংবাদ শিরোনাম

“দৈনিক রূপান্তর – সত্যের পথে পরিবর্তনের অঙ্গীকার”

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Sunday, November 2, 2025

মামলা করলেন ঢাবি শিক্ষিকা মোনামি



এডিট করা আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে দিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করায় সাংবাদিক মুজতবা খন্দকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী। এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

শাহবাগ থনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মুনসুর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাবি শিক্ষক শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার ১ নম্বর বিবাদী (আসামি) সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট মুজতবা খন্দকার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন। এতে ক্যাপশন দেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি’। বিবাদীর পোস্টের স্ক্রীনশট ও আইডি লিংকও যুক্ত করা হয়েছে।

২ নম্বর বিবাদী লেখক ও এক্টিভিস্ট মহিউদ্দিন মোহাম্মদ শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামীকে ‘যৌন-কল্পনার রসদ’ আখ্যা দিয়ে তার নিজের আইডিতে একটি ফটোকার্ড শেয়ার দেন। এছাড়াও সেখানে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করেন। 

৩ নম্বর বিবাদী ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নিরব হোসাইন ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ পোর্টালের একটি ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। ৪ নম্বর বিবাদী আশফাক হোসাইন ইভান তার ফেসবুক পোস্টে এডিটেড অশালীন ছবি পোস্ট করেন। এজাহারে সবার ফেসবুক আইডি ও পোস্টের স্ক্রীনশট সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ক্রমাগত তার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করে তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিস কক্ষে অবস্থানকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব দেখেন তিনি।

শেহরীন আনিম ভূইয়া মোনামী বলেছেন, ‘এভাবে ক্রমাগতভাবে আমার ছবি এডিট করে আশালীনভাবে পোস্ট করা এবং আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, আশালীন ও মানহানিকর মন্তব্য করার ফলে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। উক্ত ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা করে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো। ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad